পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী ৩, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

টাঙ্গাইলের এই মসজিদটিতে ৮৬ বছরে ১ মিনিটও বন্ধ হয়নি কোরআন তেলাওয়াত

ছবি
টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার পৌরসভায় অবস্থিত এই মসজিদ। এটি ধনবাড়ী উপজেলার ঐতিহাসিক স্থাপত্যের অন্যতম নির্দশন। ধনবাড়ি নবাব প্যালেসের মসজিদ। ৮৬ বছর থেকে ১ মিনিটের জন্যও পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত বন্ধ হয়নি এই মসজিদে। মোগল আমলের এই মসজিদ নিয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। এখানে ১৯২৯ সাল থেকে ২৪ ঘণ্টা তেলাওয়াত হচ্ছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এখনো ১ মিনিটের জন্যও বন্ধ হয়নি কোরআন তেলাওয়াত। মোগল স্থাপত্য রীতিতে নির্মিত মসজিদটির আকার-অবয়বে বেশ ক’বার পরিবর্তন করা হয়েছে। তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদে লাগোয়া সুদৃশ্য ও জাঁকজমকপূর্ণ একটি মিনার রয়েছে। মসজিদকে কেন্দ্র করে মানত প্রথা প্রচলিত রয়েছে। মসজিদটি প্রায় ১০ কাঠা জমির ওপর অবস্থিত। আদি মসজিদটি ছিল আয়তাকার। তখন এর দৈর্ঘ্য ছিল ১৩ দশমিক ৭২ মিটার (৪৫ ফুট) এবং প্রস্থ ছিল ৪ দশমিক ৫৭ মিটার (১৫ ফুট)। কিন্তু সংস্কারের পর মসজিদটির আকার রীতিমতো বদলে যায়। প্রচলিত নিয়মে এ মসজিদের পূর্বদিকের তিনটি প্রবেশপথ বরাবর এর অভ্যন্তরে কিবলা দেয়ালে তিনটি মেহরাব নির্মিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় মেহরাবের কুলুঙ্গিটি অষ্টভূজাকার ও বহু খাঁজবিশিষ্ট খিলান সহযোগে ফুলের নকশায় অলঙ্কৃত। উভয় পাশে...

সংস্কারের অভাবে বিলীন হচ্ছে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারের ঐতিহাসিক সওদাগরী মসজিদ

ছবি
প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে টাঙ্গাইলে দেলদুয়ারের ঐতিহাসিক আটিয়া সওদাগরী মসজিদটি এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এক গম্বুজ বিশিষ্ট এই সওদাগরী মসজিদটি ঐতিহাসিক স্থাপত্যের একটি নিদর্শন। এটি মজবুত ইটের গাথুনি ও দৃষ্টিনন্দন করেই সে সময় নির্মিত হয়েছিল। দেলদুয়ার উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে আটিয়া গ্রামের লৌহজং নদীর তীরে মসজিদটি অবস্থিত। এর পাশেই রয়েছে ৪শত বছরের পুরনো আটিয়া মসজিদ। মসজিদটির স্থাপত্য নিদর্শন দেখে ধারনা করা হয় মোঘল আমলের শেষ দিকে অথবা ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আমলের প্রথম দিকে নির্মিত হয়েছিল। একসময় আটিয়া পরগনা ব্যবসা বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র ছিল। সওদাগররা বাণিজ্য করতে এখানে দীর্ঘ সময় অবস্থান করতেন। সে সময় একজন সওদাগর মসজিদটি নির্মান করেন। ধর্মভীরু সওদাগরদের নামাজ আদায় সুবিধার্থে মসজিদটি নির্মান করা হয় বলে জনশ্রুতি রয়েছে। তবে কালের স্বাক্ষী মসজিটির জরুরীভাবে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা না হলে অচীরেই অস্তিত্ব হারিয়ে যেতে পারে বলে আশংঙ্কা করা হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দেয়ালের স্তর খসে পড়ছে। মসজিদের ছাদে ও দেয়ালের চারিদিকে আগাছা গজিয়েছে। দিন দিন বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে ...