সাগরদিঘী সরকারি সেগুন বাগানে গড়ে উঠেছে বাদুড়ের আভয়াশ্রম

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল), ০৪ফেব্রুয়ারি,
:টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী সরকারি সেগুন বাগানে গড়ে উঠেছে বাদুড়ের অভয়াশ্রম। উপজেলা সদর থেকে প্রায়
৩২ কিঃমিঃ দূরে এ সেগুন বাগানটি
অবস্থিত। শত বছর যাবৎ বিভিন্ন
প্রজাতির বাদুড় বাস করে আসছে
অভয়াশ্রমটিতে। সন্ধ্যা হলেই বাদুড়ের
ছোটাছুটি আর কিচিরমিচির শব্দে
অন্যরকম এক পরিবেশ সৃষ্টি হয়
এলাকাটিতে। এদিক সেদিক উড়তে
থাকে বাদুড়ের দল। গোধুলীর রক্তিম
আকাশে শত শত বাদুড়ের ডানামেলার
দৃশ্য প্রকৃতির এক অপার সৌর্ন্দযের
বেলাভূমি। পড়ন্ত বিকালে বাদুড়
গুলো খাদ্যের সন্ধানে বিভিন্ন
স্থানে উড়ে যায় তখন মনে হয় আকাশ
যেন কালো মেঘে ঢেকে গেছে। এ
মনোরম দৃশ্য দেখতে অনেক
প্রকৃতিপ্রেমিরা ছুটে আসে এখানে।
বাদুড় পাখি হিসাবে পরিচিত হলেও
মূলত বাদুড় একটি স্তন্যপায়ি প্রাণী।
বাদুড়ই একমাত্র স্তন্যপায়ি প্রাণী যে
উড়তে পাড়ে। পৃথিবীতে প্রায় ১২০০
প্রজাতির বাদুড় রয়েছে। বাদুড়ের
আদি বাসস্থান যুক্তরাজ্য। তবে
বাংলাদেশ সহ এশিয়া মহাদেশের
অনেক দেশেই বাদুড় দেখা যায়।
স্তন্যপায়ি এ প্রাণীর অন্যতম খাদ্য হল
ফলমূল। বাদুড় কিছু রোগের জীবানু বহন
করলেও পরাগায়ন সৃষ্টির অন্যতম মাধ্যম
হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
আসছে।
সাগারদিঘী এলাকার অবসরপ্রাপ্ত
প্রবীণ শিক্ষক মোঃ নাঈম উদ্দিন
জানান, বৃটিশ শাসনামল থেকে
সাগরদিঘী এলাকায় বাদুড়গুলো আশ্রয়
নিয়ে আসছে। সারাদিন বাদুড়গুলো
এই সেগুন বাগানেই থাকে সন্ধ্যা
হলেই খাবারের সন্ধ্যানে বিভিন্ন
এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। সারাদিন
বাদুড়ের কিচিরমিচির শব্দে
বাগানের চার পাশ মুখরিত হয়ে উঠে।
তবে বর্তমানে অধুনিক প্রযুক্তির
ব্যবহার এবং লোকজন বৃদ্ধির কারনে
বাদুড়ের সংখ্যা আগের চেয়ে
কিছুটা কমে এসেছে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

টাঙ্গাইলের আঞ্চলিক ভাষা বিলুপ্তপ্রায় কিছু শব্দ

সাগরদিঘী নাম করণেে ইতিহাস

মধুপুর জাতীয় উদ্যান জীববৈচিত্র্যে ভরপুর