ব্রিজে সংযোগ সড়ক না থাকায় দুর্ভোগে ঘাটাইল ও মধুপুরের লক্ষাধিক মানুষ
টাঙ্গাইলের মধুপুরে সংযোগ সড়ক না থাকায় প্রায় অর্ধকোটি টাকার ব্রিজ কাজে আসছে না। উপজেলার মহিষমারা (দক্ষিণপাড়া) আঠারচূড়া খালের উপর দুই বছর আগে এই ব্রিজটি নির্মাণ করে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস। ব্রিজের পশ্চিম পাশের রাস্তা জেলার ঘাটাইল উপজেলার এবং পূর্বপাশের রাস্তা মধুপুরের। ব্রিজের দুইপাড়ে প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়ক না থাকায় এটা উদ্বোধন করা যাচ্ছে না। আর ব্রিজের সংযোগ সড়কের অভাবে রসুলপুর, মোমিনপুর, গারোবাজার, মোমিনপুর, লালমাটি, গড়ানচালা, মহিষমারা গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।গতকাল (১৬ অক্টোবর) সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লালমাটি থেকে গারোবাজার পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার সড়কের মাঝপথের মহিষমারা গ্রামের আঠারচূড়া খালের উপর ব্রিজ নির্মাণ কাজ দুই বছর আগে শেষ হয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত কেউ ব্রিজে উঠতে পারেনি।
ব্রিজের জমিদাতা মো. গনি মিয়া (৪৮) বলেন, এলাকার মানুষজনের উন্নয়নে ব্রিজের জন্য জমি দিয়েছিলাম। কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় আমাদের সে আশা পূরণ হয়নি। তিনি দ্রুত সংযোগ সড়ক করার দাবি জানান।
সংযোগ সড়কের জন্য জমি দানকারী মহিষমারা গ্রামের মোছা. মমিরন বেগম (৮০) জানান, ছোটকাল থেকে দেখে আসছি, এখান দিয়ে কোনো রাস্তা ছিল না। তিনি জানান, ব্রিজ হওয়ার দুই বছর পার হলেও এখনো রাস্তা হয়নি।
গড়ানচালা গ্রামের আ. সালাম (৩৮) জানান, ব্রিজ দিয়ে পারাপার করতে হলে পশ্চিমে ৩ কি.মি. এবং পূর্বে ১ কি.মি রাস্তা নির্মাণ করতে হবে।
মহিষমারা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আবদুল মোতালেব জানান, ব্রিজের পশ্চিম পাশের রাস্তা ঘাটাইল উপজেলার এবং পূর্বপাশের রাস্তা মধুপুরের। তিনি জানান, ঘাটাইলের রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদ সরকারের সঙ্গে কথা বলে প্রকল্প এনে উভয় পাশের রাস্তা করা হবে।
মধুপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজীব আল রানা জানান, ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে ব্রিজের সংযোগ সড়ক করা হবে। তিনি আরো জানান, সংযোগ সড়কের জন্য বড় বরাদ্দের প্রয়োজন, তাই আপাতত একপাশের সড়ক নির্মাণ করা হবে।
(নজরুল ইসলাম, প্রতিনিধিি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন