কবিতা -প্রবেশ নিষেধ কবি দেলোয়ার হোসেন বাবন


গীর্জায়.প্যাগোডায় ধর্মীয় মক্তবে শয়তানেরা রঙিন অন্তর্বাস খুলে নিঃশব্দে গোপন কোঠায় কুমারী কন্যাদের রস নিঃসারণে জরায়ু ছেঁড়ার প্রার্থনা করছে এই মুহুর্তে ভিতরে প্রবেশ নিষেধ। মন্দিরের নির্জনতায় জটাধারী সাধুরা লালসালু খুলে পূজা অর্চনার নামে লীঙ্গশূলে নরমাংসের কাবাব গেঁথে তীর্থ যাত্রায় যাবার পথ দেখায় ওখানে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ। ইবলীশেরা লেবাস বদলেছে দরবেশধারী শয়তানেরা লম্বা দাঁড়ি. সুন্নতী টুপি পড়ে পাঞ্জাবির নিচে আত্মঘাতী বোমা বেঁধে মানুষ হত্যার মহড়ায় নেমেছে সেজদারত মানুষ মারবে এই মূহুর্তে মসজিদেও প্রবেশ নিষেধ। কোনো কোনো ধর্মের কিছু কিছু মানুষ সঠিক পথে নেই এতো মানুষের মাঝে সঠিক মানুষ কে? সবাই মুখোশধারী তাই মানুষ চেনা যাচ্ছেনা। আমরা মানুষ।শ্রেষ্ঠ মানুষ। আমাদের শ্রেষ্ঠত্বের শব্দটি এখন আমরা কোনো ভাবেই কোথাও উচ্চারণ করতে পারছিনা। এখানেও মানুষ শব্দটি উচ্চারণ করা নিষেধ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

টাঙ্গাইলের আঞ্চলিক ভাষা বিলুপ্তপ্রায় কিছু শব্দ

সাগরদিঘী নাম করণেে ইতিহাস

মধুপুর জাতীয় উদ্যান জীববৈচিত্র্যে ভরপুর