কালিহাতীতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ ও পাঠ্য বই নিয়ে প্রতারণা করেছে একটি প্রতারক চক্র।


টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ ও পাঠ্য বই নিয়ে প্রতারণা করেছে একটি প্রতারক চক্র। জানাযায়, উপজেলার বাংড়া ইউনিয়নের আউলটিয়া গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ২০০২ সালে একটি জমি ক্রয় করে আউলটিয়া তৎকালীন মসজিদ কমিটি। কিন্তু ওই মসজিদ কমিটির কাউকে কিছুই না জানিয়ে প্রতারক চক্রের প্রধান লাঙ্গলজোড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক করিমের পরামর্শে ও সহযোগিতায় স্থানীয় ইউপি সদস্য তুহিন ও তার শশুর মজনু, একই গ্রামের বছির উদ্দিন, শাজাহান মিয়া ও শাহাআলম প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন না করেই ২০১২ সাল থেকে ওই বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী ও পাঠ্য কার্যক্রম দেখিয়ে সরকারীকরণ করার জন্য অপচেষ্টা ও প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডে তদবির অব্যাহত রাখে এবং কয়েকদিন ধরে পুরাতন টিন ও সিমেন্টের খুটি দিয়ে বর্তমানে বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য মাটি ফেলা হচ্ছে। এমন খবরে সরেজমিনে গেলে এর সত্যতার প্রমান পাওয়া যায়। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় আউলটিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে কোন বিদ্যালয় নেই।
এদিকে বিদ্যালয়ে পাঠ্য কার্যক্রম দেখানোর জন্য প্রতারক চক্রের মূল হোতা লাঙ্গলজোড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক করিম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্থলে কিন্ডার গার্ডেন স্কুল দেখিয়ে সম্প্রতি উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে প্রতারনা করে সরকারী পাঠ্য বই উত্তোলন করেন। কিন্তু ওই স্থানে কিন্ডারগার্ডেনও নেই। পরে বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফজলুল হক কে অবহিত করলে তাৎক্ষনিক ওই সরকারী পাঠ্য বই গুলো ফেরত আনেন এবং সাংবাদিকদের জানান আমাদের মিথ্যা তথ্য ও আমাদের সাথে প্রতারনা করে সরকারি পাঠ্য বই উত্তোলন করেছিল। বিষয়টি আমি অবগত হওয়ার সাথে সাথে তাদেরকে প্রশাসনিক চাপ প্রয়োগ করলে তারা স্বশরীরে না এসে একটি ব্যাটারি চালিত অটোযোগে বইগুলো ফেরত পাঠায়। এধরনের কার্ক্রমের জন্য ভবিষ্যতে তাদের উপর কঠোর নজরদারী থাকবে। অপরদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আউলটিয়া গ্রামের কয়েকজন জানান, লাঙ্গলজোড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক করিম ও স্থানীয় ইউপি সদস্য তুহিন ও তার শশুর মজনু, একই গ্রামের বছির উদ্দিন, শাজাহান মিয়া ও শাহাআলম মিলে এসব অপকর্ম করে ভূয়া একটি স্কুল পরিচালনা কমিটি তৈরী করে শিক্ষক নিয়োগের জন্যও লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এনিয়ে আউলটিয়া গ্রামের সচেতন মহল প্রতিবাদ করতে গেলে ওই প্রতারক চক্রের সাথে সংঘর্ষ হওয়ার আশংকা দেখা দিলে কালিহাতী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে প্রতারক চক্র পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করে আসে। সে নির্দেশ তোয়াক্কা না করে বিদ্যালয় স্থাপনের সকল কার্যক্রম চলমান রেখেছে। এবিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে গেলে মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে নেওয়ার হুমকি প্রদান করে। এভাবে অবৈধভাবে স্কুল স্থাপনের কার্যক্রম চলমান থাকলে এলাকার সচেতন মহল ও প্রতারক চক্রের সাথে ওই এলাকায় যেকোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

টাঙ্গাইলের আঞ্চলিক ভাষা বিলুপ্তপ্রায় কিছু শব্দ

সাগরদিঘী নাম করণেে ইতিহাস

মধুপুর জাতীয় উদ্যান জীববৈচিত্র্যে ভরপুর